এই রোদ, এই বৃষ্টি। শরতের এমন রূপ ভালই লাগে নাদিয়ার। তার প্রিয় ঋতু শরৎ। ঝকঝকে আকাশ, এক পশলা বৃষ্টি, কাশফুল, আরও কত কী!
নদীতে কাশফুল ফোটে। সেই কাশফুল দেখতে যায় নাদিয়া। আরও অনেকেই এলো। এবার নাকি অনেক কাশফুল ফুটেছে! নাদিয়া সেদিন বিকেলে নদীর দিকে ঘুরতে যায়। সাদা সাদা কাশের বন। নাদিয়া হাঁটতে হাঁটতে আরও কাছে যায়। সে দেখল দুটি ডাহুক পাখি তাকে দেখে ছটফট করছে। জালে আটকে আছে। আরও কাছে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে পারে। কে যেন ফাঁদ পেতেছে। ফাঁদ দেখেই নাদিয়ার খুব কষ্ট হলো।
আশপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। সে পাখির কাছে ছুটে যায়। খুব সাবধানে ডাহুক দুটিকে জাল থেকে মুক্ত করে ছেড়ে দেয়। পাখি দুটি ছাড়া পেয়ে কাশবনে লুকিয়ে গেল।
এরপর নাদিয়া জালটা ছিঁড়ে ফেলে। সে ভাবে, মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কেন! নিজেদের খাবার লোভে পুরো পৃথিবীকেই যেন নষ্ট করে দিচ্ছে।
শীতের সময় আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা দলবেঁধে আসত। এখন তেমন আসে না। কয়েকটা দেশীয় পাখির বাসা এই কাশবনে। মানুষের ক্ষুধা যেন পাখিদের খেলেই মিটবে! মানুষগুলো তবু বুঝতে চায় না।
আফসোস করতে করতে বাড়ি ফেরে নাদিয়া। তারপরও সান্ত্বনা এই যে, দুটো পাখি তো সে বাঁচাতে পারল!